বরগুনা পৌরসভা নির্বাচন আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থীর ইশতিহার ঘোষনা ,
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ ইশতিহার ঘোষনা করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো: হুমায়ূন কবীর, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মোতালিব মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান নশা, সদস্য মো: শাহজাহান, সদস্য মশিউর রহমান শিহাব, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নে ৩১ দফা উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে ইশতিহার পাঠ করেন নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু। ইশতিহারে উল্লেখ করা হয়েছে বরগুনা পৌরসভাকে নান্দনিক, জনসেবামূলক পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৌরবাসীর জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা, জলাবদ্ধতা নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ক্লিন বরগুনা, শিশুদের জন্য শিশু পার্ক নির্মান, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, সকল ঠিকাদারদের জন্য কাজের টেন্ডার উম্মুক্ত করা, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নির্মুল করা, ননস্টপ সার্ভিস চালু করা ইত্যাদি।
মেয়র প্রার্থী বলেন, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে গত বারে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বরগুনা পৌরসভা লুটপাট করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। দুর্নীতির কারনে এ বছরও তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়র শাহাদাত হোসেন ছিলেন ১৮ শত টাকার করনিক। মেয়র হয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
এবার তার মেয়ে মহাসিনা মিতুকেও মেয়র প্রার্থী করেছেন। বিগত ১০ বছরে বরগুনা পৌরসভার কোন উন্নয়ন না করে সব লুটপাট করেছে। মহারাজ বলেন, বরগুনা পৌরসভায় ৩১০ টি ঠিকাদারী লাইসেন্স ছিল। মেয়রের ৬ টি লাইসেন্স ব্যতিত ৩০৪ টি লাইসেন্স নবায়ন বাতিল করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ৩০৪ টি লাইসেন্স নবায়ন না দেওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তিনি ৬ টি লাইসেন্সে একাই কাজ করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে নির্বাচিত করলে পৌরসভার সকল অনিয়ম দূর করা হবে।